শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ০৫:৩৫ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঐতিহ্যবাহী আছমত আলী খান (এ.কে) ইনষ্টিটিউশন এর প্রধান শিক্ষক এইচ.এম. জসীম উদ্দীন গত ০৬/০৯/২০০৯ খ্রি: তারিখ প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান পরবর্তী নানামুখী সৃজনশীল চিন্তা ভাবনা থেকে বিদ্যালয়টিকে যখন একটি আধুনিক মডেলস্কুলে পরিণত করেন। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে ঠিক সেই সময়ই বিদ্যালয়ের এডহক কমিটি করোনা কালীন সময়ে তাকে গত ১৭/১২/২০২০ খ্রি: তারিখ সাময়িক বরখাস্ত করেন।
পরবর্তীতে তিনি উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে বরিশাল সহকারী সিনিয়র জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন যা এখনও বিচারাধীন। প্রধান শিক্ষক সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগ করে জানান, তার ছেলেমেয়েদের বরিশালের দুটি উচ্চ মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করাবেন এই স্বপ্ন দেখেন। তার বড় মেয়ে ফাহমিদা জেবিন প্রমি বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২১ সনের এসএসএসসি পরীক্ষার্থী।
উল্লেখ্য সে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণীতে ট্যালন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্ত তাছাড়া তার ছোট ছেলে জারিফ হোসেন লাবিব বরিশাল জিলা স্কুল থেকে পিএসসি পরীক্ষা দিবে। উল্লেখ্য সে তৃতীয় শ্রেণী থেকে প্রথম হয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়েছিল। কিন্তু অত্র প্রতিষ্ঠানের এডহক কমিটির বেআইনি ও নগ্ন হস্তক্ষেপে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া বন্ধসহ শারীরিক ও মানসিকভাবে হতাশাগ্ৰস্থ হয়ে পড়েছেন।
ফলে প্রধান শিক্ষকের ছেলেমেয়েদের নিয়ে দেখা স্বপ্ন এখন দু:স্বপ্নে পরিণত হয়েছে। গত ০৯/০৯/২০২১ খ্রি: তারিখ মহামান্য হাইকোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫/০৯/২০২১খ্রি: তারিখ সভাপতি বরাবর পূন:বহাল এর জন্য আবেদন করলেও তারা কর্নপাত করেনি। বরং নিপীড়ন নির্যাতনের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন। তবে অভিযোগে সত্যতা জানার জন্য এ্যাডহক কমিটির সভাপতি নুপুর বেগম’কে ফোন করা হলে তার নাম্বারটি ব্যাস্ত পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্বব হয়নি। এ বিষয়ে শিক্ষা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সুদৃষ্টি কামনা করছেন ভুক্তিভুগী ওই দুই শিক্ষার্থীর বাবা প্রধান শিক্ষক এইচ. এম. জসীম উদ্দীন।